আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করছে সামরিক বাহিনী। এতে অং সান সু চি’র কোনও কর্তৃত্ব নেই। সু চি তো প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। তাকে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি পদ দেওয়া হয়েছে। এটাই তো তার কর্তৃত্ব, ক্ষমতার সীমারেখা স্পষ্ট করে দেয়। এখন সুচির যে অবস্থায় সেটি হচ্ছে, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার ফলে মিয়ানমার নমনীয় হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিয়ানমারের পক্ষে দীর্ঘদিন চাপ হজম করা কঠিন হয়ে পড়বে এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হবে। সু চি’র সাম্প্রতিক বক্তব্যেও নমনীয়তা লক্ষ্য করা গেছে।’ তার মতে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নয়, এতে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা থাকা উচিত।
মন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র আন্তর্জাতিক চাপই পারে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য করাতে।’
রোহিঙ্গাদের জন্য কিছুটা অসুবিধা হলেও স্থানীয় অধিবাসীদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার একদিকে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগিতা দিচ্ছে। অন্যদিকে তাদের ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রাখছে।’
ত্রাণ গ্রহণ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকার চেক, চট্টগ্রামের খুলশী ক্লাবের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির পক্ষ থেকে ১১ হাজার ২০০ পরিবারের জন্য ত্রাণ, চট্টগাম মহল মার্কেট থেকে দুই হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত ত্রাণ গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম, আওয়ামী লীগের ত্রাণ উপকমিটির চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম মুন্সী, চট্টগ্রাম মহল মার্কেটের সত্ত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন আহমদ, খুলশী ক্লাবের সভাপতি শামশুল আলম উপস্থিত থেকে ত্রাণ সামগ্রী ও চেক মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন- সু চির ভাষণ সময়ক্ষেপণের কৌশল