সিলগালা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স সিমপ্যাথি হাসপাতাল, ঝাউতলা কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক, সেভ লাইফ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিজ। এছাড়া নগরীর রেইসকোর্সে অবস্থিত বি. রহমান হাসপাতালটি ভুয়া ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা ও চরম অব্যবস্থাপনার জন্য বন্ধ করা হয়। এদিকে রেইসকোর্সের মিশন হাসপাতালের প্যাথলজির ফ্রিজে রক্ত রাখায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মজিবুর রহমান জানান, বিনা লাইসেন্সে কার্যক্রম পরিচালনার অপরাধে একটি হাসপাতাল, একটি ডায়াগনস্টিক ও একটি ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া অনিয়ম, ভুয়া ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং প্যাথলজির ফ্রিজে রক্ত রাখার দায়ে একটি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়। এছাড়া আরেকটির প্যাথলজি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
তিনি আরও জানান, গত সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১২টি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে সিলগালা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নগরীতে আরও ৫টি সিলাগালা করা হলো। সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের জন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কুমিল্লার গৌরিপুরে একটি ক্লিনিকে মহিলার গর্ভে সন্তান রেখে পেট সেলাই করে এক চিকিৎসক। পরে সন্তানটি মারা যায়। এনিয়ে হাইকোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের তলব করে। এরপর থেকে হাসপাতাল গুলোর অনিয়ম বন্ধে কাজ শুরু করে সিভিল সার্জন অফিস।