নিহতের বড় বোন চম্পা আক্তার জানান, তার বোন নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং যুবদলের নেতাকর্মীরা ঈর্ষান্বিত হয়ে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ এলাকার যেকোনও কাজ-কর্মে বাধা দিয়ে আসছিল। স্থানীয় জিনদপুর বাজার কমিটির নেতা নির্বাচন নিয়েও স্বপ্নার সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। এসব বিরোধের জেরেই স্বপ্নাকে খুন করা হয়েছে।
স্বপ্নার একমাত্র ছেলে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ইফরান হোসেন জানায়, তার মাকে এলাকার লোকজনই হত্যা করেছে। এরা তার মাকে আগেও হত্যার চেষ্টা করেছিল।
ইফরান বলে, ‘পুলিশের কাছে তাদের নাম বলেছি। তাদের ধরলে আমার মায়ের খুনি বের হয়ে যাবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস বলেন, ‘স্বপ্না সব সময় ন্যায়ের পক্ষে থাকতেন। ন্যায়পরায়ণতাই তার জীবনে কাল হয়েছে।’
এদিকে, হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুহম্মদ মুস্তফা আশরাফ জানান, নিহত স্বপ্নার আক্তারের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। মাথায় বুলেটের আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২২ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের দশমৌজা বাজারে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে বাড়িতে ফিরছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না আক্তার। বাড়ির কাছে জিনদপুর চারপাড়া সড়কের মাঝামাঝি স্থানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা অটোরিকশার গতিরোধ করে খুব কাছ থেকে স্বপ্নাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গভীর রাতে নিহতের ছোট ভাই আমীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর জাহাঙ্গীর নামে এক অটোরিকশাচালককে আটক করে পুলিশ।