সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজারের অভিজাত এক হোটেলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ ও নগদ টাকা সংগ্রহের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশকে তিন দফায় বন্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। তার ওপর রোহিঙ্গা সমস্যাসহ নানা কারণে অর্থনৈতিক চাপ বেড়েছে। তাই চাপ কমাতে বিকল্প চিন্তা করছে সরকার।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত সুরক্ষার জন্য দ্রুত সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আর এ কাজ বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনী। এছাড়া বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দুই দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে।’
আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কথামালার চাতুরী, মিথ্যাচার ও স্ট্যান্ডবাজি ছাড়া বিএনপির আর কোনও পুঁজি নেই। তারা নিজেরাও জানে- আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে বিএনপির পরিণতি মুসলিম লীগের চেয়েও করুণ হবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, আবদুর রহমান বদি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গাদের জন্য সংসদ সদস্য সামসুল হক চৌধুরী ২০ লাখ, একরামুল করিম চৌধুরী ২০ লাখ, আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য খন্দকার রুহুল আমিন ১০ লাখ, ডব্লিউটিসি এর চেয়ারম্যান ইকবাল ২০ লাখ, মাহমুদ আলী রাতুল ১০ লাখ টাকা দান করেন। এছাড়া এয়ারটেল ডেভেলপমেন্ট ৪ লাখ টাকার ওষুধ হস্তান্তর করে।