কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন পুরনো মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। সরকার মানবিক কারণে এসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রতিটি ক্যাম্পে অস্থায়ী বাসস্থান, খাবার, চিকিৎসা সেবা, স্যানিটেশন ও পানির ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু অল্প জায়গায় এত বেশি মানুষের বসবাস এবং অপরিকল্পিত কার্যক্রমের ফলে দূষিত হয়ে উঠছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা।
উখিয়ার ১নং বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে বসবাসকারী রোহিঙ্গা আমান উল্লাহ জানান, বাসার সামনে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত নোংরা পানি চলাচল করতে না পারায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। নাকে রুমাল দিয়েও চলাচল করা দায়।
উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন এনজিও কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুত এই সমস্যা কেটে যাবে।’
কক্সবাজার সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. এমরান খান জানান, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন এবং পানির জন্য সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি শিশুদের সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে কাজ করছে সমাজসেবা অধিদফতর।
আরও পড়ুন:
‘রোহিঙ্গাদের আগমনে পরিবেশের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে’