ইয়াং হি লি’র সঙ্গে কথা বলেছেন এমন একাধিক রোহিঙ্গা বাংলা ট্রিবিউন প্রতিবেদককে এই কথা জানান। তবে ইয়াং হি লি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।
উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা সর্দার লালু মাঝি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় ইয়াং হি লি জানতে চান, আমরা মিয়ানমারে ফেরত যাবো কিনা। উত্তরে আমরা বিভিন্ন শর্তের কথা জানিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।’
ওই ক্যাম্পের আয়ুব আলী মাঝি বলেন, ‘এক সঙ্গে আমরা ৩০ জন রোহিঙ্গা ইয়াং হি লি’র সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমরা সবাই প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেছি। তিনি আমাদের ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন।’
এর আগে শনিবার টেকনাফের নয়াপাড়া ও রইক্ষণ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ইয়াং হি লি। তিনি টেকনাফ নেচার পার্কের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে ১০ রোহিঙ্গা পুরুষ ও ১০ জন নারীর সঙ্গে কথা বলেন। সফরকালে তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও ক্যাম্পে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকায় পৌঁছান এবং শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার আসেন। চলতি মাসে তার মিয়ানমার সফরের কথা থাকলেও সে দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি সেখানকার পরিবর্তে বাংলাদেশে আসেন। এবার সাত দিনের সফরে পাঁচ দিন বাংলাদেশে থাকার পর ২৪ জানুয়ারি থাইল্যান্ড সফরের কথা রয়েছে তার।