চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

মাসুদ রানা হত্যা মামলার দুই আসামিচাঁদপুরের মতলব উত্তরে প্রায় ১০ বছর আগে মাসুদ রানা নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশীদ এ রায় দেন। অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি সায়েদুল ইসলাম এই খবর নিশ্চিত করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- পশ্চিম লুধুয়া বেপারী বাড়ির আবদুল বারেক বেপারীর ছেলে মো. ফারুক ওরফে নবী (২৫), একই এলাকার মৃত মোখলেছুর রহমান মুন্সির ছেলে মোহাম্মদ আলী মুন্সি (২৮), মৃত নোয়াব আলীর ছেলে মো. আবদুল খালেক মোল্লা (৩২), দক্ষিণ লুধুয়া গ্রামের  মো. আবদুর রহিম বেপারীর ছেলে ইয়ামিন বেপারী (২৪) ও একই এলাকার আবুল কাশেম মাঝির ছেলে মো. সেলিম মাঝি (২২)। রায় ঘোষণার সময় আসামি মো. ফারুক ওরফে নবী এবং মো. আলী মুন্সী উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

রায়ে মামলার অন্য তিন আসামি- কামাল হাওলাদার, মো. কেরামত আলী মোল্লা ও মো. চেরাগ আলী মোল্লাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৫ অক্টোবর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া গ্রামে ঈদের আগের রাতে মাসুদ রানাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় আসামিরা। পুরনো বিরোধের জের ধরে মাসুদ রানাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ কচুরিপানার নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়। ১০ দিন পর ১৫ অক্টোবর সেখান থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় মাসুদ রানার বাবা মো. রবিউল দর্জি বাদী হয়ে ১৫ অক্টোবর মতলব উত্তর থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মোট আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০০৯ সালের ৩০ মে এসআই আকরাম হোসেন মজুমদার ও আ. ওহাব আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

মামলার বাদী রবিউল দর্জি রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আট আসামিই পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। অথচ তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’