একরাম হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ জন ধরাছোঁয়ার বাইরে

জামিন নিয়ে পলাতন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবিদুল ইসলাম আবিদ

ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ জন ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

তাদের মধ্যে ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়লা জেসমিন বড় মনির ছেলে আবিদুল ইসলাম আবিদ জামিন নিয়ে প্রবাসে আত্মগোপন করেছে।

অন্যদিকে প্রথম থেকেই পলাতক চার্জশিটভুক্ত ১০ আসামিকে চার বছরেও ধরতে পারেনি পুলিশ। তাদের মধ্যে নয় জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে এবং একজন খালাস পেয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় গ্রেফতার এবং জামিন নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ৯ জনের মধ্যে ৮ জনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।তাদের মধ্যে একজন  র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুক যুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ইসমাইল হোসেন ছুট্টু, কপিল উদ্দিন মাহমুদ আবির, টিটু, রাহাত, মো.এরফান আজাদ, বাবলু, শফিকুর রহমান ময়না, একরাম হোসেন আকরাম, মোসেলহ উদ্দিন আসিফ ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জামিন নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ৯ আসামি হলেন, এমরান হোসেন রাসেল ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রাসেল, জাহিদুল হাসেম সৈকত, চৌধুরী মো. নাফিস উদ্দিন অনিক, আবিদুল ইসলাম আবিদ, জিয়াউর রহমান বাপ্পি, নুরুল আবসার ওরফে জাহিদ চৌধুরী, আরমান হোসেন কাউসার ও জসিম উদ্দিন নয়ন। জামিনে থাকা মো. সোহেল ওরফে রুটি সোহেল নামে এক আসামি এরইমধ্যে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।

জামিন নিয়ে পলাতন আসামি আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী

প্রসঙ্গত, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আমিনুল হক এই রায় দেন। রায়ে প্রধান আসামি জেলা তাঁতীদলের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনারসহ ১৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মো. আদেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন চৌধুরী ওরফে জিহাদ চৌধুরী, ফেনী পৌরসভার তৎকালীন ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলুসহ ৩৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হককে কুপিয়ে ও গুলি করে গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

আরও পড়ুন: উড়োজাহাজে উঠতে ভয় পেতেন বিলকিস বানু


 

 

 

 

 

 

রফিকুল ইসলাম

ফেনী প্রতিনিধি