ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আসামিরা হলেন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ ব্রাদার্স’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সামশুল আলম (৫০), চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার (৪৯), পরিচালক জয়নাব বেগম (৬৪), কামরুন্নার বেগম (৪২), তাহমিনা বেগম (৩৪), মো. নুরুল আলম (৪২), অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখার সাবেক উপ-ব্যবস্থাপক মো. নুরুল আমিন (৫৬), সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. জোনায়েদ বোগদাদী (৬১), ইয়াছিন ফারুকী (৫৬), সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার উদয় কুমার বিশ্বাস (৬৩) ও মো. শাহজাদুল আলম (৪৯)।
জহির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মামলার এজহারে অভিযোগ আনা হয়েছে ‘মোহাম্মদ ইলিয়াছ ব্রাদার্স’ এর পরিচালকরা ব্যাংকের অর্থায়নে ইন্দোনেশিয়া থেকে অপরিশোধিত পাম ওয়েল আমদানি করে। আমদানিকৃত পণ্য বিক্রয় করার পর ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেননি। উল্টো তিনটি টিটিআর ঋণ বাবদ মোট ১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
তিনি আরও বলেন, মামলার এজহারে আসামিদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হয় তারা অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য প্রতারণা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করেন। তাদের এই কাজে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তারা সহায়তা করেন। অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তারা ঋণ মঞ্জুরি, ক্রেডিট কমিটির শর্তানুযায়ী ঋণপত্র খোলা, ঋণ বিতরণ, আমদানিকৃত মালামালের বিক্রিত মূল্য থেকে যথাসময়ে টিআর ঋণ সমন্বয় নিশ্চিত করেননি।