একরাম হত্যা: ধরাছোঁয়ার বাইরে দণ্ডিত ১৭ আসামি

একরাম হত্যাকাণ্ডফেনীর ফুলগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় দণ্ডিত ১৭ আসামিকে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদের মধ্যে ৮ জন জামিন নিয়ে ও ৯ জন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তাদের অবস্থান সম্পর্কেও কোনও তথ্য নেই পুলিশের কাছে।

এদিকে, নিম্ন আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডিতদের আপিলের শুনানি দুই মাসেও শুরু না হওয়ায় রায় কার্যকর নিয়ে শঙ্কায় আছেন একরামের স্বজনরা।  
আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান কবীর বেঙ্গল জানান, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন,  ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন জিহাদ, আবিদুল ইসলাম আবিদ, চৌধুরী নাফিজ উদ্দিন অনিক, আরমান হোসেন কাউসার, জাহেদুল হাসেম সৈকত, জিয়াউর রহমান বাপ্পি, জসিম উদ্দিন নয়ন, এমরান হোসেন রাসেল ওরফে রাসেল, রাহাত এরফান ওরফে আজাদ, একরাম হোসেন ওরফে আকরাম, শফিকুর রহমান ওরফে ময়না, কফিল উদ্দিন মাহমুদ আবির, মোসলে উদ্দিন আসিফ, ইসমাইল হোসেন ছুট্টু, মহিউদ্দিন আনিছ, বাবলু ও টিটু।
এদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত জাহিদ হোসেন ও আবিদুল ইসলাম জামিন নিয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে  গেছেন বলে জানা গেছে।

একরামের ভাই রেজাউল হক জসিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দণ্ডিত ১৭ আসামিকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা না থাকায় আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।’

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, আসামিদের অবস্থানের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনও তথ্য নেই। তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। পলাতকদের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারলে গ্রেফতার করা হবে।

ফেনী জজ আদালতের পিপি বলেন, ‘এই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২২ জন কারাবন্দি রয়েছেন। ১৩ মার্চ রায় ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালত থেকে ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। নথির ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুত হলেই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল শুনানি হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের বিলাসী সিনেমা হলের সামনে ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জসিম উদ্দিন মামলা করেন। গত ১৩ মার্চ ফেনীর দায়রা জজ আদালত ৩৯ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন।