স্কুলছাত্রী তাসফিয়ার নিরপেক্ষ ভিসেরা রিপোর্টের দাবি জানিয়েছেন তার বাবা

সংবাদ সম্মেলন করছেন তাসফিয়ার বাবা

স্কুলছাত্রী তাসফিয়ার মৃত্যুর কারণ ভিসেরা রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে তার বাবা মোহাম্মদ আমিন বলেন, ‘রিপোর্ট যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় আমি এই দাবি জানাচ্ছি। তাসফিয়ার ‘নারকীয় হত্যাকাণ্ডের’ বিচার এ ভিসেরা রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে। এই রিপোর্ট যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, প্রশাসনের কাছে আমি এই দাবি জানাচ্ছি।’ সোমবার (২১ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ আমিন বলেন, ‘তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডে তৃতীয় কোনও পক্ষের ইন্ধন আছে কিনা বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত কিনা? এই ব্যাপারে খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

আদনানকে দ্বিতীয়বার রিমান্ডে পাঠানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের বয়স বিবেচনা না করে তাদের অপরাধ বিবেচনা করে পুনরায় রিমান্ড মঞ্জুর করে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের সুযোগ দিন। এ সময় তিনি বিগত সময়ে এই রকম রিমান্ড মঞ্জুরের নজির আছে বলে মন্তব্য করেন।’
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করে মোহাম্মদ আমিন বলেন, ‘আপনি তো বুঝেন প্রিয়জন হারানোর বেদনা কতটা অবর্ণনীয়। তাই আমাদের সকলের অভিভাবক হিসেবে, আমি একজন সন্তান হারা বাবা আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
উল্লেখ্য, গত ২ মে সকালে পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ব্রিজঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে তাসফিয়ার লাশ দেখে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে নিশ্চিত করে মরদেহটি তাসফিয়া আমিনের।
তাসফিয়া নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি টেকনাফের ডেইলপাড়া এলাকায়। তাসফিয়া পরিবারের সঙ্গে নগরীর ওআর নিজাম আবাসিক এলাকার তিন নম্বর সড়কের কে আর এস ভবনে থাকতেন। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানতে পারে ঘটনার আগের দিন মঙ্গলবার (০১ মে) সন্ধ্যায় তাসফিয়া তার ছেলেবন্ধু আদনানের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।

এ ঘটনায় তাসফিয়ার বাবা আদনানসহ ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ ৩ মে আদনানকে গ্রেফতার করে। গত ১০ মে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না পাওয়ায় তাকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করে পুলিশ। আদালত তাদের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।