ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড হক টাওয়ারের মায়াবী ফ্যাশনে অভিযান পরিচালানা করি। এসময় দোকানে থাকা ৪ হাজার ৫০০ পিস শাড়ির মধ্যে প্রায় ২ হাজার পিসের কোনও ইনভয়েস বা বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি মালিক শামসুল আলম (৫০)। এই অপরাধে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তারপর মায়াবীর মালিক উত্তেজিত হয়ে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ও হুমকি দেন। প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা নিচে গিয়ে গাড়ি ভাঙচুরসহ সরকারি কাজে বাধা দেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাকে ঘিরে ফেলেন। তারা পাশের দোকান ভাঙচুর ও আমার গাড়িতে ইট নিক্ষেপ করেন। একসময় তারা আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে ফেনী মডেল থানার ওসি রাশেদ খান চৌধুরীর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।’
অভিযানে বিএসটিআই পরিদর্শক আশিকুজ্জামান, ফিল্ড অফিসার সাইফুর রহমান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আব্দুর রহমান ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গ্র্যান্ড হক টাওয়ারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সহিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধের ঘটনা দুঃখজনক। এ ঘটনার সঙ্গে মার্কেটের সাধারণ ব্যবসায়ীরা জড়িত নয়। তবে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো যাচ্ছে না। ওই ব্যবসায়ীর এক লাখ টাকা জরিমানা করায় ক্ষুব্দ হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অসদাচরণ করেছে। যা একজন ব্যবসায়ী হিসাবে কোনোভাবে ঠিক করেনি শাসমুল আলম। মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’