পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে নাসিরনগর পশ্চিমপাড়ার মো. রফিক মিয়া মেদির হাওরের চরে গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় বিলের পাশে লঙ্গর নদী পার হওয়ার জন্য জেলে নরেশ দাসের কাছে তার নৌকাটি চান। এসময় নরেশ দাস গরুসহ তার নৌকা দিয়ে পারাপার করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জেলে সস্প্রদায়কে কটূক্তি করে গালি দেন রফিক। নরেশ ক্ষুব্ধ হয়ে তার গ্রাম গাঙ্কুল পাড়ার (জেলেপাড়া) লোকজনকে খবর দেন। এসময় জেলেপাড়ার লোকজন এগিয়ে এসে মো. রফিক মিয়াকে ঘিরে ধরে। তারা গালি দেওয়ার কারণ জানতে চান রফিকের কাছে। এসময় রফিক মিয়া ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া দেখালে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রফিকের পক্ষে আয়েত আলীর নেতৃত্বে একদল লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এসে গাঙ্কুল পাড়ায়(জেলেপাড়ায়) হামলা চালায় এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী প্রদীপ দাস এবং পরিমল দাস জানান, হামলাকারীদের সবার হাতে টেঁটা, দা, রড এবং ছোড়া ছিল। তারা আরও জানান, হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে গাঙ্কুল পাড়ার সুরেন্দ্র দাস, লাল মোহন দাস, জান্টু দাস, মন্টুদাস এবং সোনার চাঁন দাসের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। হামলার সময় ইটের আঘাতে মনি রানী দাস, অঞ্জনা দাস, বিপুলা রানী দাস, মালতি রানীদাস, সমীর দাস, জিতু দাস, অপিরা রানী দাস, দুলু দাস, জান্টু দাস আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় মনিরানী দাসকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ ইকবাল হোসেইন ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু জাফর। তারা জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ব্যাপারে উভয়পক্ষকে আজ মঙ্গলবার বিকালে থানায় ডাকা হয়েছে। বিষয়টি যেন কোনোভাবেই আর না বাড়ে সে বিষয়ে উভয়পক্ষকে সর্তক করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আরো পড়ুন- শাহজাহান বাচ্চুকে গুলি করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা