ফেনীতে মাদক ব্যবসায়ের দায়ে রেস্তোরাঁ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানফেনীতে মাদক ব্যবসায়ের দায়ে বিএফসি নামের একটি রেস্তোরাঁ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২১ জুন) ফেনী মডেল থানা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফেনী মডেল থানার বিপরীতে ডাক্তার পাড়া মোড়ে বিএফসি রেস্তোরাঁর ডিপ ফ্রিজ থেকে ২৯ বোতল ফেনসিডিল ও মালিক খোরশেদ আলম রাজনের (২৯) অফিস কক্ষের টেবিল ল্যাম্প থেকে থেকে ১৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে রাজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রেল গেইট এলাকার আবু বকর সড়কের একটি ভাড়া বাসার দোতলায় অভিযান চালিয়ে ৬৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এই সময় তার মাদক চক্রের সদস্য ডাক্তার হায়দারের ছেলে সালেহ উদ্দিন সায়েম (৩২), খোরশেদ আলম (৩১), আবু ইউসুফ বিপ্লব (৩৫) ও জাহাংগীর আলমকে ( ৩২) আটক করা হয়। এই চার জনের প্রত্যেককে ২ বছর করে কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা জানান, বিএফসির মালিক খোরশেদ আলম রাজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাদক ব্যবসা চালানোর দায়ে রেস্টুরেন্টটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে শহরের রাজাঝির দিঘীর সামনে পর্ণোগ্রাফি বিক্রির সময় মো. ইয়াসিন (২৫) ও মো. হামিদ (২১) নামের দুই জন হাতেনাতে ধরা পড়ে। তাদেরকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা জানান, তাদের কম্পিউটার তল্লাশি করে পর্ণো ছবি পাওয়া গেছে। কম্পিউটার দুটি জব্দ করা হয়। তারা দিঘীর পাড়ে পর্ণো ছবি বিক্রি করতো। এছাড়া শহরের লালপোলে পচা পেঁয়াজ ব্যবহার করে ডিম ভাজি করার অপরাধে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের দায়ে হক হোটেলের মালিক সাঈদুল হককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবু জাহিদ, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুজন বড়ুয়া ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।