ওসি জানান, মামলায় ছয় জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন– মো. মিরাজ, শিবু ভট্টাচার্য্য, এনামুল হক, ফয়সাল আলম, রাসেল উদ্দিন জয় ও আদর। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে রাসেল নগরীর সরকারি সিটি কলেজের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, এনাম একই কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ওসি মোহাম্মদ মহসিন আরও বলেন, ‘রবিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে নগরীর নিউ মার্কেট মোড় এলাকায় উল্টো পথে আসা একটি মোটরসাইকেল আটকানোর ঘটনায় কয়েকজন যুবক সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মাজহারুল আলম সোহাগকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় আজ (১৩ আগস্ট) দুপুরে সার্জেন্ট মাজহারুল আলম সোহাগ বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দানসহ দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৮৬, ৩৩২, ৩৫৩, ৩০৭ ও ৪২৭ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।’
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন ফয়সাল মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন, মিরাজ তার পেছনে মোটরসাইকেলে বসা ছিলেন। মোটরসাইকেলটি নিয়ে তারা উল্টো পথে আসায় নিউমার্কেট মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট তাদের গাড়ি থামিয়ে মামলা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেরাজ তার কথিত রাজনৈতিক বড় ভাইদের ফোন দিয়ে নিয়ে আসে। তারা এসে নিউমার্কেট মোড় পুলিশ বক্সে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করে। এসময় ওখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল মামুনকে তারা লাঞ্ছিত করে এবং পুলিশের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।