চট্টগ্রাম কলেজের সেই অস্ত্রধারীরা শনাক্ত, দুজন গ্রেফতার

চট্টগ্রাম কলেজে অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগের একাংশের মহড়াচট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে পদবঞ্চিতদের আন্দোলনের মধ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার ঘটনায় দুজন অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মো. ইমরান (২৩) নামে এদের একজনকে বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর সদরঘাট থানার শাহজাহান হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়। মো. সাব্বির (২৭) নামে অপরজনকে বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর রাজাপুকুর লেইন থেকে গ্রেফতার করা হয়। নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার সাব্বির নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদকের পদে আছেন। সে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। এদিকে, গ্রেফতার ইমরান কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার ষোলপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। ইমরান পরিবারের সঙ্গে নগরীর সদরঘাট থানার উত্তর নালাপাড়া এলাকায় থাকেন। ইমরানের রাজনৈতিক কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম কলেজে অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের একাংশের মহড়াএস এম মোস্তাইন হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গণমাধ্যমে যে তিন জন অস্ত্রধারী যুবকের ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তাদের ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইমরান ও সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের সঙ্গে অন্য যারা জড়িত আছে তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘ তিন দশক পর ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর শিবিরকে বিতাড়িত করার পর, গত সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি ও সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে নগর ছাত্রলীগ। এ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে নামে। টাকার বিনিময়ে কমিটিতে অছাত্র, ছাত্রদল ও শিবিরকে স্থান দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এনে কমিটি বাতিলের দাবি জানায় তারা। একই দাবিতে তারা মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরদিন বুধবার একই দাবিতে পদবঞ্চিতরা আবারও সড়কে নামে। এদিন তাদের সঙ্গে বহিরাগতদের আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায়। এসময় আন্দোলনকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে শর্টগানসহ দেশি অস্ত্র ছিল বলে ছবিসহ গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।