কুবির বাসে বহিরাগতদের হামলায় এক শিক্ষার্থী আহত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসে বহিরাগতদের হামলায় এক শিক্ষর্থী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভাড়া করা বিআরটিসি বাসে হামলা করা হয়। এসময় বাস চালককে রক্ষা করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী দ্বীন মোহাম্মদ আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহর অভিমুখে ছেড়ে যাওয়া ৫ নম্বর বাস কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ফটক পেরোনোর পর এক মোটরসাইকেল আরোহী বাসটিকে ওভারটেক করতে চান। রাস্তাটি সরু হওয়ায় তারা ওভারটেক করার সুযোগ পায়নি। পরে মোটরসাইকেলে ৮-১০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী এসে বাসের গতিরোধ করে। এ সময় মারমুখী সন্ত্রাসীরা বাস ড্রাইভার আলাউদ্দিনের ওপর চড়াও হয় এবং ধারালো দেশি অস্ত্র হাতে তাকে মারতে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্বীন মোহাম্মদসহ অন্য শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা করলে দ্বীন মোহাম্মদ আহত হয়। এ সময় বাস ড্রাইভার আলাউদ্দিন দ্রুত পালিয়ে যান। পরে দ্বীন মোহাম্মদও অটোরিকশাযোগে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বাসে থাকা শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই ছাত্রী ছিলেন। কয়েকজন হামলার ভিডিও করতে গেলে তাদের মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং গালাগাল করা হয়। এ সময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য করে সন্ত্রাসীরা।

আহত শিক্ষার্থী দ্বীন জানান, তার শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত লেগেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি একাধিকবার ফোন সংযোগ কেটে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, ঘটনার কথা শুনে আমি প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের পাঠিয়েছি। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ঘটনাস্থলে মোবাইল টিম পাঠিয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও গত ১৩ মে কুমিল্লার পুলিশ লাইন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলায় চালায়। তখন কমপক্ষে ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন।