মুওদুদ অভিযোগ করেন, ‘প্রতীক বরাদ্ধ পাওয়ার পর থেকে আমাদের প্রতি অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা তীব্রতর করেছে সরকার। পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন সরকারের নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। গত তিন দিনে দুইশ নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির প্রচারণা মাইক ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমার নির্বাচনি এলাকায় ক্ষমতাসীন মন্ত্রী ও এমপিরা তাদের দলের নেতাকর্মী, সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের নির্দেশ দিয়েছেন- যেখানেই মওদুদ, সেখানেই প্রতিহত কর।’
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘পাশের উপজেলা সোনাগাজী, দাগনভূইয়া থেকে মুখোশ পরা, হেলমেট মাথায় ভাড়াটিয়া গুণ্ডারা সারাদিন নির্বাচনি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটিই বাংলদেশের প্রথম নির্বাচন- যেখানে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে সরকার ও নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এটি নির্বাচনি উৎসব নয়, জাতীয় ট্র্যাজেডি।’ তিনি বলেন, ‘আমি আমার নির্বাচনি এলাকায় যেতে পারছি না।’
মওদুদ আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের জেলায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু মন্ত্রী নিজেই নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।’
এসময় বিএনপি ও ঐক্যফন্ট মনোনীত নোয়াখালী- ১ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ২ আসনের জয়নাল আবেদীন ফারুক, ৩ আসনের বরকত উল্যাহ বুলু, ৪ আসনের মো. শাহজাহান ও নোয়াখালী- ৬ আসনের প্রার্থী প্রকৌশলী ফজলুল আজিম উপস্থিত ছিলেন।