সুবর্ণচরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আরও একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আটক হেঞ্জু মাঝি (ছবি– প্রতিনিধি)

ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় আটক হেঞ্জু মাঝি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

শনিবার (১২ জানুয়ারি) নোয়াখালী আমলি আদালত-২ (চরজব্বর) এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব আহম্মদের কাছে ১৬৪ ধারায় আসামি এ জবানবন্দি দেয়।

এ নিয়ে ধর্ষণের এ ঘটনায় ৫ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা সবাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালতের নির্দেশে হেঞ্জু মাঝিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পুলিশের তদন্ত এবং গ্রেফতার আসামিদের জবানবন্দিতে হেঞ্জু মাঝির নাম উঠে আসে। ঘটনার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী বাসে সহকারী হিসেবে কাজ নেয়। অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গতকাল শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় এপর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাত আসামির ৫ দিনের রিমান্ডের ৩য় দিন ২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। গ্রেফতার হওয়া এজাহারভুক্ত আসামি মো. সোহেল ও তদন্তে জড়িত সন্দেহে আটক জসিমউদ্দিন গত ৯ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর আগে ৭ জানুয়ারি এজাহারভুক্ত আসামি সালাউদ্দিন এবং আবুল একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।