ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে ৩১ রোহিঙ্গা, পতাকা বৈঠকেও হয়নি সুরাহা

সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গারাব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা কাজিয়াতলী সীমান্তের শূন্যরেখায় ৩১ রোহিঙ্গাকে বিএসএফের পুশব্যাকের চেষ্টার ঘটনায় একাধিকবার পতাকা বৈঠকেও এ বিষয়ে কোনও সমাধান হয়নি। এ অবস্থায় গত দুইদির ধরে আটকে পড়া রোহিঙ্গারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঠান্ডাজনিত কারণে তাদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। 

এলাকাবাসী ও বিজিবি’র কর্মকর্তারা জনান,শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাত থেকে  কসবা উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ২০২৯ পিলারের কাছে ৩১ রোহিঙ্গা নাগরিকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার চেষ্টা করে বিএসএফ। এ ঘটনায় বাংলাদেশের বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে সর্তক অবস্থান গ্রহণ করলে সীমান্তে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে। এরই মধ্যে রোহিঙ্গা নাগরিকরা দুই দেশের সীমান্তের শূন্য রেখায় ভারতীয় অংশে অবস্থান নেয়। এ নিয়ে বাংলাদেশের বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  রবিবার দুপুরেও বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। তবে কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয় বলে জানা গেছে।

বৈঠক নিয়ে কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের স্থানীয় চেয়ারম্যান এসএম মান্নান জাহাঙ্গীর জানান, বৈঠক শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কবীর তাদেরকে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নাগরিক না হওয়ায় বিজিবি তাদেরকে গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি বিএসএফের কর্মকর্তাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে বিজিবি। এর বেশি তিনি আমাদেরকে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।  

এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা ইসলাম জানান, আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও ধরনের নির্দেশনা নেই। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।