সংগঠনের জেলা শাখার সংগঠক স্বর্ণালী আচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) নোয়াখালী জেলা কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা তারাকেশ্বর দেবনাথ নান্টু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট্রের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজ নাহার রিপন, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের জেলা শাখার সদস্য মুনতাহার প্রীতি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন বাড়ছে। নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামে ৩ সন্তানের জননীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এর আগে সুবর্ণচর উপজেলায় ভোটের রাতে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাও দ্রুত বিচার আইনের আওতায় নেওয়া হয়নি। ঘটনাগুলোকে ভিন্নখাতে পরিচালিত করতে বিভিন্ন গোষ্ঠী তৎপর রয়েছে। নারী ও শিশু নিপীড়নের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে সরকারি দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন। বক্তারা অবিলম্বে নিরপেক্ষভাবে ধর্ষণের ঘটনাগুলোর দ্রুত বিচার এবং শাস্তির দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, ‘সারাদেশে খুন, নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। ধর্ষণকারী যে দলেরই হোক না কেন, তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ একই সঙ্গে এ ঘটনায় যেন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা না হয় তার দাবিও জানান তারা।
পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ জানান, মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রাম থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জাকির হোসেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নবগ্রামে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমের সৎদেবর আব্দুর রব হোসেন মান্না (২১), ইসমাইলের ছেলে মো. সেলিম (২৫) ও মফিজুর রহমানের ছেলে হারুন অর রশিদকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গতকাল প্রধান আসামি জাকির হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, আটক ৩ আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড চাইলে আদালত আদেশ না দিয়ে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।