সরেজমিনে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মাতৃবাগানে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ের ঢালু ও সমতল জামিতে সারি সারি কমলা গাছ লাগানো রয়েছে। গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে গাঢ় হলুদ রঙের কমলা। ঝোপাযুক্ত গাছে পাতার চেয়ে যেন ফল বেশি। পুরো বাগানজুড়ে ছোট ছোট গাছের শাখায় শাখায় নতুন জাতের এই কমলা। আকারে ছোট ও গোলাকার বারি কমলা-২ কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এটি দেখতেও বেশ সুন্দর ও মিষ্টি। এই কমলার টিএসএস মান প্রায় ৯ শতাংশ। এটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ জানান, প্রায় ২-৩ বছর আগে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র এই জাতের কমলার উদ্ভাবন করে। তবে এই চাইনিজ ছোট জাতের কমলা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে চাষাবাদের উপযোগী। নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীর চাইনিজ জাতের এই কমলা কৃষকরা বাণিজ্যিকভিত্তিতে চাষাবাদ করলে পাহাড়ে বারি কমলা-২ অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিতি পাবে।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি কমলা-২ জাতের উদ্ভাবন করা হয়। এটি বর্তমানে দেশে একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় বারি কমলা-২ বাণিজ্যিকভিত্তিতে চাষাবাদ হচ্ছে। ভবিষ্যতে কৃষকদের সামনে এই জাতের কমলার সম্ভাবনা তুলে ধরতে পারলে, এটি অত্যন্ত লাভজনক ফল হিসেবে পরিচিতি পাবে। এছাড়া বারি কমলা-২ একটি সৌর্ন্দয বর্ধনকারী গাছ হিসেবেও বাড়ির আঙিনায় বা ছাদে চাষাবাদ করা যায়।’