সুবর্ণচরে থানা কোয়ার্টারে নারী কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ

নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার কোয়ার্টার থেকে শিপ্রা রানী দাস (২২) নামে এক নারী কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন এ খবর নিশ্চিত করেন।

নিহত শিপ্রা রানী দাস কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফুলতলী গ্রামের মৃত অনিল চন্দ্র দাসের মেয়ে। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে শিপ্রা ছোট ছিলেন। তার স্বামী রাজিব দে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের পুলিশ কর্মকর্তা।

নিহতের মা সরলা রানী দাস জানান, শিপ্রার বাবা কয়েক বছর আগে মারা যান। ২০১৪ সালে শিপ্রা পুলিশে যোগদান করেন। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই রাজিবের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘বিয়ের সময় রাজিবকে নগদ একলাখ টাকা, চার ভরি স্বর্ণ ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়। রাজিব মাদকাসক্ত। সে বিভিন্ন সময় টাকার জন্য শিপ্রাকে মারধর করতো।’

চরজব্বর থানার ওসি মো. শাহেদ উদ্দিন জানান, শিপ্রা রাণী দাস চর জব্বর থানায় প্রায় ৬ মাস আগে যোগদান করেন। থানা কোয়ার্টারের একটি কক্ষে শিপ্রা রানীসহ পাঁচ নারী পুলিশ কনস্টেবল থাকতেন। এর মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে অপর তিন নারী কনস্টেবল খাবার আনার জন্য বাইরে গেলে শিপ্রা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে অন্য নারী কনস্টেবলরা দরজা বন্ধ থাকার বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

সরলা রানী দাসের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’