খাগড়াছড়ি আ.লীগ ফের বিদ্রোহী প্রার্থীর মুখোমুখি

খাগড়াছড়িপঞ্চম উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগে ফের কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। খাগড়াছড়ির রামগড় ও মাটিরাঙা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিপরীতে বিদ্রোহ প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন অনেকেই।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে রামগড়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরার বিপরীতে বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী নুরুল আলম আলমগীর ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রফিকুল আলম কামাল বিদ্রোহ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একইভাবে মাটিরাঙা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের বিপরীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অবস্থান নিয়েছেন।
মাটিরাঙা উপজেলার বিদ্রোহী প্রার্থী তাজুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা ও কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া অযোগ্য একজন প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
রামগড় উপজেলার আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের জানান, দল মনোনীত প্রার্থীকে চান না নেতাকর্মীরা। তাই জনমতের প্রতি সম্মান রেখে তিনিসহ বাকি আওয়ামী লীগ নেতারা প্রার্থী হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেন, ‘যারা দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপরও কেউ দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা নিকট আত্মীয়। ২০১৬ সালে রামগড় পৌরসভা নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা। সেসময় বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী শাহজাহান রিপনের কাছে পরাজিত হন। পৌর নির্বাচনে প্রার্থিতা মনোনয়নের জেরে খাগড়াছড়ি ও রামগড়ে দীর্ঘ আড়াই বছর আওয়ামী লীগে বিভক্তি ছিল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিভক্তি কমে আসে।