লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি: গ্রেফতার তিন ডাকাত কারাগারে

রাঙামাটিতে ৫ জঙ্গির দশ বছরের জেলচাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনায় ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। ডাকাতির ৫২ দিন পর পুলিশ ডাকাতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

গ্রেফতার আসামিরা হলো, মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ঋষিকান্দি গ্রামের জয়কৃষ্ণ ঋষি (৩০), লিটন দাস মনি (৩০) ও মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খালপাড় দুর্গাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪০)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি রাতে অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার শ্যামলী শিশু হাসপাতাল থেকে আফরিন আক্তার (৯) নামে এক শিশুর লাশ নিয়ে মতলব উত্তর থানাধীন শিকারীকান্দি গ্রামে যাচ্ছিল। পথে ভোররাতের দিকে মতলব উত্তর থানার ঘাসিরচর পাকা রাস্তায় গাছ ফেলে ঢাকা মেট্রো-চ-০২-০৫৩৯ নম্বরের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে ডাকাতরা। পরে লাশের সঙ্গে আসা আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকার স্বর্ণালংকারসহ ৩টি মোবাইল সেট দুর্বৃত্তরা লুটে নেয়।
এ ঘটনায় মৃত আফরিনের চাচা মনির হোসেনের দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের হয়। পরে মতলব উত্তর থানার পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশের একটি দল ১১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত মতলব উত্তর থানা ও মতলব দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। একপর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে জয়কৃষ্ণ ঋষি ও লিটন দাস মনিকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার লালপুর গ্রাম থেকে তাদের সহযোগী মোহাম্মদ আলীকে (৪০) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ১২ মার্চ আটক তিন ডাকাতকে চাঁদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরে আলমের আদালতে সোপর্দ করলে আসামিরা দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
আসামিরা তাদের জবানবন্দিতে জানায়, একটি মাইক্রোবাসে ৬/৭ লাখ টাকা আসবে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে তারা ৩ জনসহ আরও ৪ জন ডাকাতি করতে ঘটনাস্থলে যায়। তারা লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে ওই মাইক্রোবাস ভেবে গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে ডাকাতি করে।

মতলব উত্তর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, পলাতক ৪ ডাকাতকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স থেকে লুট করা মালামাল উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।