‘পাহাড়ে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে নিরাপত্তা বাহিনী’

খাগড়াছড়িজাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ ফয়জুল করিম বলেছেন,  ‘পাহাড়ে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছে নিরাপত্তা বাহিনী।’ বাঘাইছড়ি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে শুক্রবার বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের সঙ্গে  আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন,  ‘বাঘাইছড়ি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত। নির্বাচন নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলোর আধিপত্য বিস্তারের জেরে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। জেএসএস (সংস্কারপন্থী) গ্রুপের প্রার্থী সুদর্শন চাকমা এবং জেএসএস (সন্তু লারমা) অংশের প্রার্থী ছিলেন বড়ঋশি চাকমা। বড় ঋশি চাকমাকে নির্বাচনে জেতানোর জন্য সমর্থন দেয় পাহাড়ের আরেক আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ। সুদর্শন চাকমার নির্বাচনে ভালো অবস্থানের কারণে নির্বাচনের আগের দিনও ফেসবুকে খুন খারাবিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আবাস ছিল। ঘটনাটিতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস (সন্তু লারমা) অংশের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে।’

হত্যাকাণ্ডের সময় আনসার ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত থেকেও কেন প্রতিরোধ করেনি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আনসার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেন গুলি বর্ষণ ও হামলার সময় তারা হুইসেল বাজিয়ে বিজিবি সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা তা পরিলক্ষিত করেনি।

প্রসঙ্গত,  জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বাঘাইছড়ির ৮ জনকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গত ২১ মার্চ দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আল মাহমুদ ফয়জুল করিমের নেতৃত্বে এ কমিটির অন্য সদস্য হচ্ছেন সহকারী পরিচালক শাহ পরান।