পানি খেলছেন মারমা তরুণ-তরুণীরাশোভাযাত্রা, পানি খেলা, বয়স্ক পূজা,সাংস্কৃতিক উৎসব, পিঠা উৎসবসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মারমাদের চার দিনব্যাপী বর্ষবরণ সাংগ্রাই শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল)। সাংগ্রাইয়ের শেষ দিনে পানি খেলা (জলকেলি) উৎসবে মেতে ওঠে মারমা তরুণ-তরুণীরা। এ উৎসব দেখতে সারাদেশ থেকে মানুষ বান্দরবানে জড়ো হয়। আনন্দ,উদ্দীপনায় আর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে বর্ণিল হয়ে উঠেছে পুরো বান্দরবান জেলা।
মারমা সম্প্রদায়ের উৎসব উদযাপন কমিটির লোকজন জানায়,১৩ এপ্রিল বণার্ঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংগ্রাই। এরপর বুদ্ধমূর্তি স্নান, পিঠা তৈরি,জলকেলি, রশি টানা, তৈলাক্ত বাঁশের ওপর আরোহণ, কাবাডি, বলী খেলাসহ নানা আয়োজন ছিল। মারমা ছাড়াও তঞ্চঙ্গ্যা, চাকমা, ত্রিপুরা, মুরুং সম্প্রদায়সহ সব জাতিগোষ্ঠী ধর্মীয় রীতিনীতি ও ঐতিহ্য অনুসারে বৈসাবি পালন করে।
পানি খেলছেন মারমা তরুণ-তরুণীরামারমা তরুণী চিংমে প্রু বলেন, ‘আমাদের জীবনে যত দুঃখ, কষ্ট, গ্লানি আছে তা ধুয়ে-মুছে দিতেই মূলত এ পানি বর্ষণ করে থাকি।’
আরেক মারমা তরুণী উমেপ্রু মারমা বলেন, ‘সাংগ্রাই হচ্ছে আমাদের অন্যান্য উৎসবের মধ্যে একটি প্রধান উৎসব। এ উৎসবে নানা আয়োজন থাকে। এবছর আমরা সাংগ্রাই খুব সুন্দরভাবে পালন করেছি।’
পানি খেলছেন মারমা তরুণ-তরুণীরাপার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ‘এখানে আমরা যারা ১১টি সম্প্রদায় আছে। তারা প্রত্যেকেই বাংলা নববর্ষকে ভিন্ন ভিন্ন নামে পালন করে থাকে। কেউ সাংগ্রাই, কেউ বিজু, কেউবা বৈসু, সাংক্রান্ত নামে নববর্ষকে পালন করে থাকে।’
সাংগ্রাই উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আজ ১৬ এপ্রিল বৌদ্ধ বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় শেষ হবে মারমাদের চার দিনব্যাপী বর্ষবরণের এ সাংগ্রাই উৎসব।