জিয়া কুলাঙ্গারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার খলনায়ক: মোজাম্মেল হক

আ ক ম মোজাম্মেল হক (ফাইল ছবি)

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কুলাঙ্গারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন; তিনি কুলাঙ্গারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার খলনায়ক।’

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা এবং নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের (২০১৯-২১) পরিচিতি সভা উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যে আদর্শ ও চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর তা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর স্বৈরশাসক ও সামরিকতন্ত্রের উত্থান ঘটে। এসময় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাকে বারবার বিকৃত ও বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালায়। আর এসব কিছুর পেছনের খলনায়কের ভূমিকায় ছিলেন জিয়াউর রহমান।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু সরকার ৭১-এর গণহত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিল। কিন্তু ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু এবং তার সহযোগীদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর এই বিচার কাজ বন্ধ করে দেয় স্বৈর শাসকরা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে আবার এই বিচার কার্যক্রম শুরু করে।’

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা নির্মূল কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, স্বাধীনতা সংগ্রামী জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান শরফুদ্দীন চৌধুরী রাজু ও সাংবাদিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী।