নুসরাত হত্যায় আরেক আসামি শাকিল গ্রেফতার

মহিউদ্দিন শাকিল (ছবি– প্রতিনিধি)ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার ঘটনায় আরও এক আসামি মহিউদ্দিন শাকিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৬টায় ফেনী শহরের উকিলপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র এডিশনাল এসপি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শাকিল সোনাগাজীর চরচান্দিয়া গ্রামের রহুল আমীনের ছেলে। সে নুসরাত জাহান রাফির সহপাঠী। নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার সময় শাকিল মাদ্রাসার মূল ফটকে পাহারায় ছিল। আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিনের স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দিতে শাকিলের নাম উঠে আসে।

উল্লেখ্য, নিহত নুসরাত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে তিনি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় তাকে কৌশলে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান। এ ঘটনায় নুসরাতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।
নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে গত ৮ এপ্রিল ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই ২২ জন আসামিকে গ্রেফতার করে। এরমধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ৭ জন রিমান্ডে রয়েছে।