পুলিশের ভাবমূর্তি উদ্ধারের চেষ্টা করবো: ফেনীর নতুন এসপি মনিরুজ্জামান

ফেনীর সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন এসপি মনিরুজ্জমান মতবিনিময় করেননুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জেলা পুলিশের যেটুকু ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে তা কাজের মধ্য দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন নতুন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে পুলিশ যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। অপরাধীকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। সাংবাদিকরা যেকোনও অপরাধ ও অপরাধীর তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করি।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এডিশনাল এসপি (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, এএসপি (ডিএসবি) মোহাম্মদ খালেদ হোসেন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই (নিরস্ত্র) মো. ইউসুফকে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে এবং এসআই (নিরস্ত্র) মো. ইকবাল আহমদকে খাগড়াছড়ি জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে।

নিহত নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার এ ঘটনায় বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম শ্রেণির আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে নেয় অধ্যক্ষের ভাগ্নি পপি। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার জোরালো অভিযোগ ওঠে। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।