কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক লে. কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ বিচ এলাকায় অভিযান চালান। এসময় সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ৫ জন মানব পাচারকারী সদস্য ও ১৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী রয়েছে। উদ্ধারকৃত ১৭ জন মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্ব-স্ব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হলেও মানব পাচারে জড়িত ৫ জন দালালকে আটক দেখিয়ে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন জানিয়েছেন, পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া জেটিঘাট থেকে মালয়েশিয়াগামী নারী ও শিশুসহ ৬২ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। দালালচক্রের একটি দল আটক এসব রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে জড়ো করেছিলো। এর মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী ও ১৩ জন শিশু রয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পেকুয়া থানার পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।
ওসি জানান, দালালের সহায়তায় কিছু রোহিঙ্গা ট্রলারে চড়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সংবাদ পাই। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৬২ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দালালরা বোট নিয়ে সাগরের দিকে পালিয়ে যায়। আটক রোহিঙ্গারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য এসেছে। আটক রোহিঙ্গাদের পেকুয়া থানায় রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রতিদিনই কোনও না কোনও রোহিঙ্গা অবৈধপথে সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ক্যাম্প ছাড়ছে। একইভাবে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে অনেকে ধরা পড়লেও বেশিরভাগ রোহিঙ্গা জীবন বাজি রেখে মালয়েশিয়া পাড়ি দিচ্ছে।