চন্দ্রগঞ্জে আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যুবলীগ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, আহত ১০

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজার গণমিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী বাবলুর অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে পুলিশসহ স্থানীয় যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আহতরা হলেন- যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিংকু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়া, রোমেল, সৌরভ, পারভেজ, ছাত্রলীগ নেতা মামুন, শাহাদাত, ফিরোজ ও পুলিশের এসআই সোহেল মিয়াসহ ১০ জন।

এসময় ঘটনাস্থলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিজন বিহারী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী, স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলসহ জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী বাবলুর অনুসারীরা ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে গণমিলনায়তনে কেক কেটে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন নেতাকর্মীরা।

চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী বাবলু সাত বছর আগে অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে ও ৩ মাস আগে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ৬-৭টি মামলা রয়েছে।