এদিকে রবিবার সকালে পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
সরেজমিনে ঘুরে ও বিভিন্ন উপজেলায় খবর নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবানের সদর, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম, থানচি, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। এরমধ্যে সদর ও লামা উপজেলায় বসবাসকারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবছরই শুষ্ক মৌসুমে উন্নয়নের নামে পাহাড় কেটে বিভিন্ন এলাকার সড়কে সৃষ্ট গর্ত ভরাটসহ নতুন সড়কে মাটি দেওয়া হয়। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করায় বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে ঘরের ওপর পড়ে। যার কারণে মাটিচাপা পড়ে প্রাণহানি ঘটে অনেকের।
লামার ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ‘ঝুঁকিতে থাকা বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। তবে কোথাও পাহাড় ধস, হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।’
জেলা তথ্য অফিস থেকে জানা গেছে, ২০০৬ সালে জেলা সদরে তিনজন, ২০০৯ সালে লামা উপজেলায় শিশুসহ ১০ জন, ২০১০ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পাঁচজন, ২০১১ সালে রোয়াংছড়ি উপজেলায় দু’জন, ২০১২ সালে লামা উপজেলায় ২৮ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১০ জন, ২০১৫ সালে লামায় চারজন, সিদ্দিকনগরে একজন ও সদরের বনরূপা পাড়ায় দু’জন এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৩ জুন সদরের কালাঘাটায় সাতজন ও রুমা সড়কে ২৩ জুলাই পাঁচজন পাহাড় ধসে মারা গেছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৃষ্টি শুরুর পরপরই সকাল থেকে উপজেলার প্রত্যেক ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সবাইকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের যেন কোনও ক্ষতি না হয় সেজন্য যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত।’ প্রত্যেক উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।