উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়লো ওয়াকওয়ে

ধসে পড়া ওয়াকওয়েউদ্বোধনের আগেই চট্টগ্রাম নগর রক্ষায় নির্মিত উপকূলীয় বাঁধ কাম আউটার রিং রোড প্রকল্পের ওয়াকওয়ে ধসে গেছে। নগরীর পতেঙ্গা এলাকার মুসলিমাবাদ ঘাটের কাছে এই ওয়াকওয়ের ৩০-৩৫ ফুট স্লাব ধসে পড়ে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই এ ঘটনায় প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নগরবাসী।

শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে ওয়াকওয়ের কিছু অংশ ধসে পড়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন,মুসলিমাবাদ ঘাট এলাকায় রিং রোডের পাশে সাগরের তীর ঘেঁষে বসানো ব্লকের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া ওয়াকওয়ের প্রায় ৩০/৩৫ ফুট অংশ ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। ফলে সেখানে ৮/১০ ফুট গভীর একটি গর্ত হয়ে গেছে।

আবু সাঈদ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বেশি না মাত্র ৬ মাস হলো ঢালাই দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে খেজুরতলা বিচের এখানে কিছু অংশ ধসে পরে। আরও ধস হওয়ার সম্ভাবনা আছে কারণ ফাটল অনেকটুকু পর্যন্ত। ভাগ্যিস এটা এখনও পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়নি চলাচলের জন্য। যদি হতো তবে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের মতো অবারও একটা ট্র্যাজেডি ঘটতো।’

ধসে পড়া ওয়াকওয়েএ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে স্লাবের নিচে থাকা বালি স্রোতের টানে নেমে যায়। এ কারণে স্লাব ধসে পড়েছে। এছাড়া প্রকল্পটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। যে অংশে স্লাব ধসে পড়েছে ওই অংশে ব্লক বসানো হয়নি।’

স্লাবে কেন রড ব্যবহার করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘প্রকল্পের ডিজাইনে ছিল স্লাবগুলো সিসি হবে। এগুলো আরসিসি হবে না। সিসিতে রড ব্যবহার করা হয় না। এটি ওয়াকওয়ে মাটির ওপরে থাকবে তাই এখানে রড ব্যবহার করা দরকার নেই।’

প্রসঙ্গত,পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণের জন্য জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) সঙ্গে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়। আড়াই হাজার কোটি  টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে চার লেনের এ সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের অধীনে ১৭.৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হবে। এর মধ্যে ১৫.২০ কিলোমিটার মূল ও ২.১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কথা ছিল। এছাড়া প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে তৈরির কথা রয়েছে।