বুধবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এসব তথ্য জানান।
মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, নিহত ইকরাম হোসেন সরাইলে তার খালাতো বোনের বাসায় থেকে সরাইল ডিগ্রি কলেজে পড়তো। গত কয়েক মাস খালাতো বোনের মেয়ে সিমুকে স্কুলে নেওয়া ও আনার পথে শিমুল উত্ত্যক্ত করতো। তখনকার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) উম্মে ইসরাত শিমুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আট মাসের কারাদণ্ড দেন। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে শিমুল পরিকল্পিতভাবে ১১ আগস্ট ইকরামকে তার ঘরে প্রবেশ করে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে।
নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে
ইমরানুল হাছান সাদী, নাজিম উদ্দিন ও নাজমা বেগমসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি শিমুল ও সোহাগের নাম বের হয়ে আসে। এরপর মামলাটি র্যাবের হাতে আসে। আসামিদের সরাইল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছ বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।