বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন—পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমা, রাঙামাটি সার্কেল চিফ চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, খাগড়াছড়ির মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী, বান্দরবান বোমাং সার্কেল উ চ প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সচিব আলী সনসুর ও রেজিস্ট্রার সাহাব উদ্দিন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার উল হক বলেন, ‘আইনগত বিধিমালাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে, বিধিমালাটি পাশ হলেই আমরা শুনানির জন্য প্রস্তুতি নেবো। এরপর দ্রুতই বিরোধপূর্ণ ভূমির নিষ্পত্তির কাজ শুরু করতে পারবো।’
ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘যতদিন কমিশন থাকবে, ততদিন বিরোধপূর্ণ ভূমির দরখাস্ত আহ্বান চলমান থাকবে। স্থায়ী লোক নিয়োগে আইনগত কিছু ব্যাপার আছে। সময়িকভাবে কাজ এগিয়ে নিতে সরকার অবশ্যই আমাদের সহায়তা করবে এবং নিষ্পত্তির কাজ শুরু হলে প্রয়োজনে জনবল দিয়ে সাহায্য করবে।’
বান্দরবান বোমাং সার্কেল চিফ উ চ প্রু চৌধুরী বলেন, ‘বৈঠকে উপস্থিত সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন—শিগগিরই ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিরোধপূর্ণ ভূমির মীমাংসার কাজ শুরু করতে পারবে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি বিধিমালা হয়ে যাবে। তারপর কাজ শুরু করবো, শুরু হলে শেষ করতে বেশি দেরি হবে না।’
রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো—আঞ্চলিক পরিষদ থেকে যেসব প্রস্তাব সরকারের কাছে গেছে এবং আরও যেসব যেতে পারে, সেগুলো যেন সরকার যথাযথভাবে গুরুত্ব দিয়ে বিধিমালা করে।’
উল্লেখ্য, ভূমি কমিশন বিরোধপূর্ণ ভূমির দরখাস্ত আহ্বান করলে দুই দফায় ভূমি কমিশনে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিন জেলা থেকে তিন হাজার ৯৩৩টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলায় দুই হাজার ৮৩৯টি, রাঙামাটি জেলায় ৭৬৯টি, বান্দরবান জেলায় ৩২৫টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। কমিশনে বর্তমানে আবেদন জমা আছে ২২ হজার ৯০টি।
কমিশনের পরবর্তী সভার জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।