টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, রোহিঙ্গা স্বামী-স্ত্রী নিহত




নিহত রোহিঙ্গা দম্পতিকক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক নারীসহ দুই রোহিঙ্গা সদস্য নিহত হয়েছেন। তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। শনিবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এরআগে একটি অস্ত্রসহ তাদেরকে আটক করা হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।

নিহত দু’জন টেকনাফের হ্নীলার ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের মৃত কাদের হোছাইনের ছেল দিল মোহাম্মদ (৩২) ও তার স্ত্রী জাহেদা বেগম (২৭)।

পুলিশের দাবি, নিহত দু’জনের কাছে অবৈধ অস্ত্র মজুত ছিল। ঘটনাস্থল থেকে তারা দুটি এলজি, একটি থ্রিকোয়ার্টার, আটটি তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করেছেন। এ সময় পুলিশের এএসআই নিজাম এবং কনস্টেবল শাহাদত ও সুদর্শন আহত হয়েছেন।

ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, শনিবার রাতে উপজেলার হ্নীলার ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে একটি এলজিসহ জাহেদা ও দিল মোহাম্মদকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের কাছে আরও অস্ত্র থাকার কথা জানায়। পরে রাতে তাদের নিয়ে পুলিশের একটি দল ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র উদ্ধারে যায়। এ সময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে দিল মোহাম্মদ ও জাহেদাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎস টিটু চন্দ্র শীল বলেন, পুলিশ রাতে গুলিবিদ্ধ এক নারী ও একজন পুরুষকে নিয়ে আসে। তাদের শরীরে দুটি করে গুলির আঘাত রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ওসি দাবি করেন, ‘সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে তারা দু’জন নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশের তিন সদস্যও আহত হন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’