সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লার আলেখারচর আমতলী ব্রিজ থেকে টিক্কারচর ব্রিজ পর্যন্ত নদীর দুই পাশে রয়েছে অসংখ্য কাঁচা-পাকা বাড়ি। বাঁধের ওপরের জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। বাড়ি নির্মাণের সঙ্গে চর ভরাট করে দোকান নির্মাণ করেছেন ব্যবসা করছেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই কর্মকর্তা জানান, নদীর বাঁধের ভেতরে সরকারি সম্পত্তি দখল করে ঘর-বাড়ি এবং দোকানপাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি তালিকা করেছে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গোমতী নদী রক্ষার বিষয়ে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ৩১৭টি অবৈধ দখলদারের নাম জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
রফিকুল ইসলাম নামে চরের এক বাসিন্দা জানান, এক বছর আগে শহরতলী চাঁনপুর এলাকার রাজা মিয়া নামে এক ব্যক্তি থেকে প্রতি শতক এক লাখ টাকা দরে আড়াই শতক জমি কিনেছিলেন। রফিকুলসহ আরও ৬ পরিবারের কাছে রাজা মিয়া স্ট্যাম্পের মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করেছেন।
তিনি জানান, টাকা নেওয়ার সময় তাদেরকে স্ট্যাম্প দিয়েছেন রাজা মিয়া। তাতে লেখা আছে, এই সম্পত্তি কেউ দাবি করতে আসবে না। তবে সরকার যখন চাইবে তখন এই সম্পত্তি রেখে চলে যেতে হবে।
পাঁচথুবী ইউনিয়নের একজনের কাছ থেকে মিজানুর রহমান দোকান করতে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। তিনি জানান, বাঁধের সঙ্গে হওয়ায় প্রতি শতক জমি দেড় লাখ টাকা করে নিয়েছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, ‘গোমতী নদীর বাঁধ ও চরের সরকারি সম্পত্তির দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি তালিকা দিয়েছে আমাদেরকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড যখনই চায় উচ্ছেদে যেতে পারে আমরা। তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।’