সেন্টমার্টিনে বিজিবি মহাপরিচালক

সেন্টমার্টিনে বিজিবির চৌকি ঘুরে দেখছেন বিজিবি মহাপরিচালক

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ২৪ মিনিটে নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তিনি সেন্টমার্টিনে পৌঁছেন।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কক্সবাজার রামু জিওসি মেজর জেনারেল মাইন উদ্দিন চৌধুরী, বিজিবি কক্সবাজার রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুল রহমান, সেক্টর কমান্ডার মনজরুল হাসান খান। এছাড়া ছিলেন টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান, অপারেশন অফিসার মেজর রুবায়াৎ কবীরসহ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।

টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান বলেন, ‘বিজিবির মহাপরিচালক দুপুরে হেলিকপ্টারে করে সেন্টমার্টিন পৌঁছেন। পরে তিনি মোটরসাইকেলে লাইট হাউসে যান। সেখান থেকে তিনি বিজিবির প্রস্তাবিত জায়গাগুলো ঘুরে দেখেন। বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।’

বিজিবি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দ্বীপে বিজিবির কার্যক্রম ছিল। এরপর দ্বীপে কোস্টগার্ড কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। দীর্ঘ ২২ বছর পর চলতি বছরে ৭ এপ্রিল কোস্টগার্ডের পাশাপাশি বিজিবিও সেখানে নিয়মিত টহল শুরু করেছে।

মূলত সীমান্তের সুরক্ষা ও চোরাচালান রোধে সরকার নতুন করে দ্বীপে বিজিবির একটি চৌকি স্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে। এই চৌকি প্রথমবারের মতো পরির্দশনে এসেছেন বিজিবির মহাপরিচালক।

সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, ‘বিজিবি মহাপরিচালক হেলিকপ্টারে করে পৌঁছেছেন। পরে তিনি বিজিবির চৌকি ঘুরে দেখেন।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরের দিকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে মিয়ানমার। মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিনকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দেখানো হয়। গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত উ লুইন ওকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানায়। এরপর মিয়ানমারের মানচিত্র পরিবর্তন করা হয়।