কুমিল্লায় শত্রুতার জের ধরে শিশু হত্যা

হত্যা

কুমিল্লায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দশ বছরের শিশুকে হত্যার পর বাড়ির পেছনের পরিত্যক্ত ডোবার কচুরিপানার ভেতরে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাতে কুমিল্লা সদর উপজেলার ৩নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর (সাতওরা) গ্রামের মধ্যপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ। কুমিল্লার কোতয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক এ কথা জানান।

শিশু মেহেদী হাসান রিফাত (১০) চম্পকনগর (সাতওরা) গ্রামের প্রবাসী আলমগীর হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় নর্থ-সাউথ চাইল্ড কিন্ডার গার্টেনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

রিফাতের মা জেসমিন আক্তার জানায়, রিফাত শনিবার সন্ধ্যায় পাশ্বের বাড়ির বিউটি আক্তার নামে এক নারীর বাসায় প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। পড়া শেষে বাড়ি আসাতে দেরি দেখে তিনি টিউটরকে কল দিয়ে জানতে পারে রিফাত সন্ধ্যা ৭টায় দিকে বাড়িতে চলে গেছে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে। খুঁজতে গিয়ে এক পর্যায়ে বাড়ির পেছনে পরিত্যাক্ত ডোবার কচুরিপানার ভেতর তাকে রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে থাকতে দেখে। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে তার জিনিসপত্র চুরি হয়। ওই এলাকায় হৃদয় নামে এক যুবকসহ কয়েকজনকে তিনি সন্দেহ করে জিনিস উদ্ধারের জন্য চাপ দেন। এই নিয়ে তাদের সঙ্গে রিফাতের পরিবারের বিরোধ সৃষ্টি হয়। শত্রুতার জেরে তারাই রিফাতকে হত্যা করতে পাতে বলে তিনি ধারণা করছেন।

কুমিল্লার কোতয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধ বা গলায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুর মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তদন্তের পর জানা যাবে।