ওই কিশোরী এখন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আছে। ভিকটিম কিশোরীর বাড়ি উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ইমন, রাসেল ও শরীফ। তারা একই ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নোয়াপাড়া গ্রামের ওই কিশোরীর বাবা-মায়ের মধ্যে কয়েক বছর আগেই ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তারা দু’জনই অন্যত্র বিয়ে করেছেন। ওই বাড়িতে কিশোরী একাই থাকতো। এ সুযোগে কিছু দিন আগে পশ্চিম ভাদুর গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে শাওন ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার রাতে শাওন ওই কিশোরীকে পশ্চিম ভাদুর গ্রামে তার বন্ধু ইমনের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ওই বাড়িতে আরও তিন বন্ধু আসে। এরপর ৫ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শাওনসহ দুজন পলাতক রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত শাওনসহ দুজনকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।