লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য মিরন হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

 

Lakshmipur-Pic-1

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিরন হত্যা মামলার রহস্য উম্মোচিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মিরন হত্যা মামলার একজন আসামিকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ২টি বন্দুক, ২টি এলজি, ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত সিএনজিসহ আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সদর উপজেলার দত্তপাড়ার আলাদাতপুরে ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ টায় ৪ জন মুখোশপরা অস্ত্রধারীরা মিরনকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে চন্দ্রগঞ্জ থানার একটি চৌকস টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে মিরন মেম্বার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি মো. জসিমকে স্থানীয় বটতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে জসিম ওই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে। একই সঙ্গে গোপন হেফাজতে থাকা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির তথ্য দেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে নিয়ে ২১ অক্টোবর বিকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার চরচামিতা মিজি বাড়ির কাচারী ঘরের ভিটির নিচ থেকে বস্তায় ভর্তি অস্ত্র উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, পরে জিজ্ঞাসাবাদে জসিম অস্ত্রগুলো মিরন হত্যায় ব্যবহারের কথা স্বীকার করে। হত্যাকাণ্ডে জসিম নিজে ও জনৈক লোকমান এবং সিএনজি চালক জামালসহ আরও একজন জড়িত ছিল বলে জানায়।

এর আগে ১১ অক্টোবর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত নম্বারবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও চালক জামালকে আটক করে পুলিশ। জামাল দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এছাড়া এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইলিয়াছ কোবরা ১৪ অক্টোবরে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গোলাগুলিতে নিহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার এ হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত উল্লেখ করে পূর্ব শত্রুতা ও স্থানীয় বিরোধের ফলশ্রুতিতে মিরনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান।

এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনাসহ যে কোন অপরাধ দমনে পুলিশের জিরো টলারেন্স থাকার জানান জেলার পুলিশ প্রধান।