জানা যায়, ভাতেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনটি ১৯৯৫ সালে নির্মিত। সেসময় অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ভবনটি সঠিকভাবে নির্মিত হয়নি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন, বিজয়, ফারুক, বাসার মোল্লাসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বরুড়ার ভাতেশ্বর গ্রামের একমাত্র বিদ্যাপিঠ ভাতেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের নিচতলা জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ। স্কুল ভবনের প্রতিটি পিলারে ফাটল। সেই ভবনের ওপরে দোতল করার প্রস্ততি চলছে। যার কাজ প্রায় মাঝ পথে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দোতলা নির্মাণে ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বর্তমানে পুরাতন ভবনটির যে হাল, দোতলা ভবন নির্মাণে যেকোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ভাতেশ্বর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন বলেন, ‘আমি এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েছি মাত্র দেড় মাস হয়েছে। শুনেছি পুরাতন এই ভবনের ওপর ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে দোতলা নির্মাণ করা হচ্ছে। তারমধ্যে নিচতলায় একটি ও দোতলায় ৪টি মোট ৫টি রুম নির্মাণ হবে বলে জানা গেছে।’
স্কুলের সভাপতি মো. তফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘সভাপতি হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে স্কুলের ভালো-মন্দ এবং সমস্যা দেখার। স্কুল ভবনের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। ১৯৯৫ সালে ৬ তলার ফাউন্ডেশন নিয়ে একতলা নির্মাণ হয়। ওই ভবনের ওপর এখন দোতলা নির্মাণের কাজ করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর। ভবনের নিচতলা পুরাতন হওয়ায় একটু আস্তর খসে পড়েছে। তবে জরাজীর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ কিছুই নয়। প্রকৌশলীদের থেকে এলাকাবাসী বেশি বুঝে না।’
কুমিল্লা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী ইমাম বলেন, ‘১৯৯৫ সালে ৬ তলা ফাউন্ডেশন নিয়ে স্কুল ভবন নির্মাণ হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই ওই ভবনের ওপর দোতলা নির্মাণ হচ্ছে। জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এলাকার কিছু মানুষ এই ভবন নির্মাণে বাধা দিচ্ছে।’