ফেনী মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘তাফসিরুল কুরআন মাহফিলকে কেন্দ্র করে শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি না দেওয়ায় মাহফিলটি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মাওলানা মহি উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আযহারী যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর সমর্থক এবং জামায়াতের রুকন সদস্য। তিনিসহ আরও অনেক আলেম ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।’
পাঁচগাছিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক বলেন, ‘মাহফিলকে ঘিরে নোয়াখালীর আত্মগোপনে থাকা জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা সমবেত হওয়ার চেষ্টা করছিল বলে খবর পেয়েছিলাম।’
ইসলামী ছাত্র সেনার জেলা সভাপতি কমর উদ্দিন তারেক বলেন, ‘মাহফিলের আয়োজকরা অত্যন্ত চতুর। তারা কৌশলে প্রচার করেছিল ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এই মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন। যদিও তিনি ওমরাহ হজ পালনে বর্তমানে সৌদি আরব আছেন।’
মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মাসুম জানান, শেষ মুহূর্তে মাহফিলটি স্থগিত করে দেওয়ায় তিনিসহ আয়োজকরা সবাই হতাশ হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মাহফিলটি বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।