আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা সভা পণ্ড

 

chandpur-pic-12.12চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা সভা পণ্ড হয়েছে। উভয় পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় পুলিশের এসআইসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিষদের অফিস কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব জানান, উভয় পক্ষকে শান্ত করতে পুলিশ প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছে। একপর্যায়ে ছয় রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ও ডিবি পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিউলী হরি জানান, উপজেলা পরিষদ চত্বরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে সভা করা সম্ভব হয়নি বলে তা স্থগিত করা হয়। পরে সুবিধাজনক সময়ে আমরা সভাটি করবো।’

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, ‘মাসিক সমন্বয় সভা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য না হয়ে এমপির লোক এবং মাদক কারবারি খাজা আহমেদ মজুমদার পরিষদে উপস্থিত হওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।’

সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভার আমন্ত্রণ পেয়ে উপস্থিত হওয়ার পর উদ্দেশ্যমূলকভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ইউএনও কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন তাণ্ডব চালিয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আমার সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেছে। তার অনুমতি নিয়ে উপজেলা পরিষদে আসার জন্য বলেছে সে।’

chandpur-pic-12.12.2019-1প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা ছিল। সংসদ সদস্য সভায় উপস্থিত হওয়ার আগে তার অনুসারী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পক্ষের সমর্থকেরা জড়ো হতে শুরু করেন। একপর্যায়ে এমপি উপজেলা পরিষদে উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হয়। আধঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা সভা শুরু হলে এরইমধ্যে উভয় গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পুলিশের এসআই নাজমুল হোসেন ছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারী জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর হোসেন মনির, ছাত্রলীগ নেতা জয়, হাবিব, কাশেম, রিয়াদ, হাসান, সাহেদ সুজন, নাছির কাইয়ুম এবং এমপির অনুসারী পুতুল সরকার, আলাউদ্দিন, আল আমিন, রায়হান, মোহন মিজি, সৈকত, মিঠুন, নুর আল আমিন, সাগরসহ ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।