ক্রেতারা পাতায় খুঁজছেন পেঁয়াজের ঝাঁজ




ক্রেতারা পাতায় খুঁজছেন পেঁয়াজের ঝাঁজদেশে মৌসুম শুরু হলেও এখনও পেঁয়াজের দাম কমেনি। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে দেশি নতুন ও বাইরে থেকে আনা পেঁয়াজ। এ অবস্থায় পেঁয়াজের ঝাঁজ খুঁজতে পাতার দিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা পেঁয়াজ পাতাতেই চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছেন। ফেনীর বড়বাজার, মুক্তবাজার, সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেট ঘুরে এ চিত্রই দেখা যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, বাজারে এখনও প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আর  প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাতা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এ অবস্থায় বাড়তি দামে পেঁয়াজ না কিনে পাতা দিয়েই চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করছেন ক্রেতারা।

ক্রেতারা জানান, প্রতিবছর অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে পেঁয়াজ পাতার চাহিদা বাড়ে। চলতি বছর হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়তি থাকায় রান্নায় পেঁয়াজ পাতার ব্যবহার বেড়েছে।

সকালে শহরের বড়বাজারে ক্রেতা আব্দুস সামাদ সরদার বলেন, পেঁয়াজের আগুন দাম কমাতে পারছে না সরকার। আর আমরা তো অসহায়। ফুলকপি, বেগুন, লাউ, শাকসহ অন্যান্য সবজির দামও চড়া। সেই সঙ্গে চাল-তেলের দামও বেড়েছে।

পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় চাহিদা বেড়েছে কলি ও পাতারএই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী নবীন চন্দ্র ও আব্দুর রহিম বলেন, আমরা কখনও পেঁয়াজের গাছ বা পাতা খাইনি, বিক্রিও করিনি। কিন্তু এখন ফুলকার পাশাপাশি পেঁয়াজ গাছ বা পাতা কিনে মানুষ দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছে। আমদানিও বেড়েছে। কিন্তু দাম কমছে না। তাছাড়া বাসাবাড়ি ও হোটেলসহ সর্বত্র পেঁয়াজের ব্যবহার অর্ধেকে নেমে এসেছে।

ফেনী বাজারের ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদ বলেন, চলতি বছর পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় পাতার দামও বেশি। অন্য বছর পেঁয়াজ পাতার দাম ছিল প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা। আর গতকাল বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক জয়েন উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পেঁয়াজ পাতার স্বাদ ও গন্ধ প্রায় সাধারণ পেঁয়াজের মতো। এর ফুলের দণ্ডসহ সব অংশই বিভিন্ন খাবারকে রুচিকর ও সুগন্ধি করে তোলে। এ কারণে পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে পেঁয়াজ পাতা ব্যবহার করা হচ্ছে।