বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত

বন্দুকযুদ্ধকক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। তার নাম মোহাম্মদ আইয়াছ (২৫)। এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা সংলগ্ন নাফ নদীর শেকলঘেরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সল হাসান খান একথা জানিয়েছেন।

মোহাম্মদ আইয়াছ উখিয়ার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের জামাল হোসেনের ছেলে।

বিজিবির দাবি, নিহত জামাল হোসেন একজন মাদক পাচারকারী।

লে.কর্নেল ফয়সল বলেন,  ভোর রাতে নাফ নদীর জাদিমুরা পয়েন্টের শেকলঘেরা এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান আসার খবরে বিজিবির একটি দল অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে মিয়ানমারের লালদ্বীপ থেকে একটি নৌকা করে কয়েকজন লোককে নাফ নদী পার হয়ে তীরের দিকে আসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেয়। তখন নৌকায় থাকা লোকজন বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। বিজিবির সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। নৌকায় থাকা ৩ জন নদীতে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে শুন্যরেখা পার হয়ে মিয়ানমারে পালিয়ে যায়। পরে নৌকা থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নৌকাটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা, একটি দেশীয় বন্দুক, একটি গুলি ও একটি গুলির খালি খোসা। ঘটনায় বিজিবির ৩ সদস্য আহত হয়েছে।

বিজিবির অধিনায়ক বলেন, আহতদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে কক্সবাজার সদর হাসপালে পাঠান। সেখানে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। বিজিবির আহত তিন সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকিয়া হক বলেন, ‘বিজিবি গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। তার শরীরে তিনটি গুলির আঘাতের চিহ্ন ছিল।  আর বিজিবির সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।