কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে আসা মো. রফিক মিয়া ও মইনুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার জনগণের চিকিৎসা সেবা দিতে এক্সরে মেশিন দিলেও সেটি গত ১৫ বছরে একবারের জন্যও চালু হয়নি। এই এক্সরে মেশিনটি আমাদের চিকিৎসা সেবায় কোনও কাজে আসছে না। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, শুধু লো-ভোল্টেজের অজুহাত না দেখিয়ে এটি কীভাবে চালু করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দীন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি জেনেছি। এরপর সিভিল সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনেছি মেশিনটি চালাতে ৪৪০ ভোল্ট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। তবে পুরনো ৩১ শয্যার হাসপাতালে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ২২০ ভোল্ট। কাপ্তাই উপজেলায় নতুন হওয়া ৫০ শয্যার হাসপাতালে ৪৪০ ভোল্ট বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই সংযোগ ব্যবহার করে এক্সরে মেশিনটি চালু করা যায় কিনা, সে জন্য পদক্ষেপ নিতে সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করেছি।’
তবে ১৫ বছর তালাবন্দি থাকা এক্সরে মেশিনটি আদৌ চালু করা যাবে কিনা সে বিষয়ে সঠিক কিছু বলতে পারেননি রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় এক্সরে মেশিনটি কাজ করবে কিনা সন্দেহ আছে। এখন সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন রয়েছে। তাই আমরা মন্ত্রণালয়ে একটি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি।’ বরাদ্দ পেলে সমস্যা থাকবে না বলে জানান তিনি।