কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২, পুলিশের দাবি ডাকাত

বন্দুকযুদ্ধকুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. ইমন ও মো. জাহাঙ্গীর নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, নিহত ওই দু’জন ছিল ডাকাত দলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালিসহ বিভিন্ন থানায় ৭/৮টি ডাকাতি, হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’র সময় পুলিশের এসআই, এএসআই এবং ডিবির এক কনস্টেবলসহ তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে কুমিল্লার আদর্শ উপজেলার গোমতী নদীর পালপাড়া ব্রিজ এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহত মো. ইমন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ভাটপাড়া এলাকার মৃত আক্তারুজ্জামানের ছেলে এবং মো. জাহাঙ্গীর একই উপজেলার আড়াইওরা এলাকার মৃত মিরু মিয়ার ছেলে।

কুমিল্লা ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক পরিমল চন্দ্র দাস জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গোপন সংবাদে জানা যায় যে, পালপাড়া ব্রিজের পাশে সশস্ত্র একদল ডাকাত ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করতে গেলে সশস্ত্র ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এসময় ডিবি ও কোতোয়ালি থানার পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশ ও ডাকাত দলের মধ্যে প্রায় ২৫ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এতে পুলিশের তিন সদস্যসহ ডাকাত দলের সদস্য ইমন (৪০) ও জাহাঙ্গীর (২৮) আহত হয়। আহত  পুলিশ ও ডাকাতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত দুই ডাকাত সদস্যকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।  ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল হতে একটি সচল এলজি, পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা, দুইটি রামদা, একটি ছুরি এবং একটি তালা কাটার কার্টার উদ্ধার করা হয়। পলাতক ডাকাতদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহত ডাকাতদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি মামলাসহ ৭/৮টি মামলা রয়েছে।’

তিনি জানান, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন— কোতোয়ালি থানার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহীন কাদির, এএসআই জহরুল এবং ডিবি পুলিশের কনস্টেবল মোল্লা আব্দুস সবুর।