কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা এই তিন গোষ্ঠীর ভাষাতে ২০১৭ সাল থেকে বই ছাপানো এবং বিতরণ করা হয়েছে। এবছর প্রাক প্রাথমিক, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ১৪ হাজার ১২ জন চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা শিশুরা মাতৃভাষায় বই পেয়েছে। পাশাপাশি মাতৃভাষার বর্ণমালা ভিত্তিক খাতাও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মারমা শিক্ষার্থী উমেনু বলেন, ‘এ বছর বাংলা, ইংরেজি বইয়ের পাশাপাশি মারমা ভাষার বই পেয়েছি। কিন্তু এ বই পড়ানোর জন্য কোনও শিক্ষক নেই। তাই পড়তে পারছি না।’
ত্রিপুরা শিক্ষার্থী মল্লিকা বলেন, ‘আমাদের বইগুলো পড়ানোর জন্য শিক্ষকের দরকার। আমরা চাই সরকার শিক্ষকের ব্যবস্থা করে দেবে।’
বান্দরবান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টিং ম্যায়ী জানান, ভাষার বই দেওয়া হলেও শিক্ষকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ না থাকায় পড়াতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া প্রত্যেক নৃগোষ্ঠীর শিক্ষক না থাকায় সবাইকে পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
পার্বত্য শান্তিচুক্তির শিশুনীতি জাতীয় ও আন্তর্জাজাতিক আইন ও সনদ অনুযায়ী, মায়ের ভাষায় শিক্ষা গ্রহণের অধিকার রয়েছে প্রত্যেকটি নাগরিকের। তাই প্রথম ধাপে ৫টি মাতৃভাষায় প্রথম স্তরের প্রাথমিক পাঠ্য প্রস্তুত এবং পড়াশোনার উদ্যোগ নেয় সরকার। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য ভাষাগুলোতেও পাঠ্য পুস্তক প্রণয়নের কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীকুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে এবং আগামীতে শিক্ষকদের ভাষার ওপর আরও বেশি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।